শ্রী শ্রীঁ রক্ষাকালী মাতা ঠাকুরানী ।।রামজীবনপুর ,পশ্চিম মেদিনীপুর।।
আসুন জেনে নিই মায়ের বিস্তারিত তথ্য :-
এই দেবীর আরাধনা বহু পুরাতন ।।কথিত আছে একসময় মহামারী তে এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়লে এক অগ্নি জ্যোতি এসে উপনীত হয় এই শহরে ।।মহামারী থেকে রক্ষাকরার জন্য এই দেবীর নাম হয় মাতা রক্ষাকালিকা,ব্রহ্মরুপা সনাতনী ।।এই দেবী দক্ষিনাকালী মাতা ,অর্থাৎ দক্ষিণমুখী ।।কথিত আছে পরমপুরুষ ঠাকুর#রামকৃষ্ণ দেব এই দেবীর দর্শনে এসেছিলেন ।।মন্দিরের একনিষ্ঠ পূজারী কে দেবী স্বপ্নাদেশ দিতেন ,তারপরই মায়ের পূজার অনুমতি পাওয়া যেত ।। আগে পুজা হতো জীর্ণ এক মন্দিরে ।। কিন্তু মায়ের কৃপায় তৈরি হয় নুতন মন্দির ।।২০১০ সালের ১০ জুলাই মায়ের শেষ পূজা হয় নব নির্মিত মন্দিরে ।।২০১৮সালে,অর্থাৎ ৭ বৎসর পর আবার আরাধনা ।।দেশবাসীর ঐকান্তিক ইচ্ছাতেই মায়ের আরাধনা প্রস্তুতি ।।
দেবীর মূর্তি তে বিশেষ রূপ লক্ষ্যনীয়:-
এই মায়ের মূর্তি হয় দ্বিভূজা রূপে ।।দেবীর একহাতে(ডান ) থাকে ব্রহ্ম মানব,অর্থাৎ ব্রহ্ম কে ধারণ করেন, তাই তিনি ব্রহ্মময়ী ।। অপর হাতে থাকে কাল রুধির পাত্র ,কালের কলন গ্রাস করেন ,তাই তিনি কালিকা ।।কোনো খড়গ থাকে না।।মায়ের মাথার ওপর থাকে কুণ্ডলিনী স্বরূপ সর্প যা মায়ের কেশ ধারণ করে রয়েছে ।।এবং তাহার পিছনে থাকে অসীম ফনা বিশিষ্ট বাসুকি নাগ যা ধরিত্রীকে ধারণ করে রেখেছে ।।দেবীর শরীরে থাকে সর্প রুপি পৈতা ,দেবী জগদ্ধাত্রীর মতো ।।এবং মুন্ডমালা ।।এই দেবীকে নীলাম্বরী কাপড় পরানো হয়।।আভরণ থাকে স্বর্ণালংকারে।।
মায়ের দুই পাশে ডাকিনী ও যোগিনী বর্তমান।। এবং পেছনে দুটি কঙ্কাল নারী ও পুরুষ বর্তমান থাকে।। মায়ের ডান পাশে থাকেন চতুর্মুখী ব্রহ্মা ও দেবরাজ ইন্দ্র ।।উভয়েই আদি শক্তিকে প্রণাম নিবেদন করছেন ।।বামে থাকেন ভগবান বিষ্ণু ও দেবাদিদেব মহাদেব ।।ভগবান বিষ্ণুও প্রণাম নিবেদন করেছেন ।।আর মহাদেব মহাকালেশ্বর একহাতে ত্রিশুল ও অপর হাতে ডমরু নিয়ে দণ্ডায়মান।।আর একটি ,যিনি থাকেন দেবীর পদতলে ।।
এছাড়াও দুটি মাটির ব্রাহ্মণ ও তান্ত্রিক থাকে।।বলা হয়, দেবীর পূজা সাধারন কেও করতে পারে না ,তাই এই মহা শক্তির পূজক হিসাবে দুই মূর্তিকে কল্পনা করা হয়।।এছাড়া একটি শেয়াল ও কাক,মৃতদেহ খাদ্যরত মূর্তি থাকে ।।
এক বৎসর ধরে এই মূর্তি পূজিত হয় মূল মন্দিরে।।তারপর মায়ের বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয়।।পূজিত হয় মায়ের কাঠামো ।।এবং ভক্তগণ প্রতীক্ষায় থাকেন আবার মায়ের মূর্তিকে দর্শন করার জন্য ।।
দেবীর মাটি তোলা উৎসব :--
দেবীর মাটি তোলা উৎসব এই পূজার আঙ্গিকে এক বড় উৎসব ।। মায়ের মন্দির থেকে কিছু কিমি দূরে “ রানীর দীঘি” নামক এক পুষ্করীনির পাড়ে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান ।।একটি ঝুড়ি ও কোদাল নিয়ে হস্তী ,বাদ্য শোভাযাত্রা সহকারে যাওয়া হয় ওই স্থানে।।কথিত আছে পূর্বে নাকি দেবী শঙ্খচিল রূপে ওই শোভাযাত্রার সাথে যেতেন ।।এবং ওই চিলের ছায়া মাটিতে পড়লেই সেই ছায়া অংশ টুকুর মাটি সংগ্রহ করে আনা হবে মূল মন্দিরে ।।ওই পবিত্র মাটিতে নির্মিত হবে মায়ের মূর্তি ।।এবং অন্যান্য দেবতাদের মূর্তি ।।বর্তমানে ও ওই ঘটনার ওপরই এই অনুষ্ঠান ।।এই বৎসর ২৭ শে চৈত্র ,11 ই এপ্রিল ।।
এই সকল মূর্তি সহ দেবীর দর্শন পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে দুর্লভ ।।এইখানে আদ্যাশক্তির আরাধনা,মহাশক্তির পূজা হয় ভক্তি ,নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে।।দেবীর কৃপা লাভের আশায় সমাগম ঘটে অগণিত ভক্তবৃন্দের ।।মুখর হয়ে ওঠে রামজীবনপুর শহর ।।
২০১৮ র মাতৃ বন্দনায় সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রণ ।।আসুন আমরা সকলে মনের কালিমা দেবীর চরণে নিবেদন করে বলি –
“ ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ,ভদ্রকালী কপালিনী ,দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমৌস্তুতে”।।
আসুন জেনে নিই মায়ের বিস্তারিত তথ্য :-
এই দেবীর আরাধনা বহু পুরাতন ।।কথিত আছে একসময় মহামারী তে এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়লে এক অগ্নি জ্যোতি এসে উপনীত হয় এই শহরে ।।মহামারী থেকে রক্ষাকরার জন্য এই দেবীর নাম হয় মাতা রক্ষাকালিকা,ব্রহ্মরুপা সনাতনী ।।এই দেবী দক্ষিনাকালী মাতা ,অর্থাৎ দক্ষিণমুখী ।।কথিত আছে পরমপুরুষ ঠাকুর#রামকৃষ্ণ দেব এই দেবীর দর্শনে এসেছিলেন ।।মন্দিরের একনিষ্ঠ পূজারী কে দেবী স্বপ্নাদেশ দিতেন ,তারপরই মায়ের পূজার অনুমতি পাওয়া যেত ।। আগে পুজা হতো জীর্ণ এক মন্দিরে ।। কিন্তু মায়ের কৃপায় তৈরি হয় নুতন মন্দির ।।২০১০ সালের ১০ জুলাই মায়ের শেষ পূজা হয় নব নির্মিত মন্দিরে ।।২০১৮সালে,অর্থাৎ ৭ বৎসর পর আবার আরাধনা ।।দেশবাসীর ঐকান্তিক ইচ্ছাতেই মায়ের আরাধনা প্রস্তুতি ।।
দেবীর মূর্তি তে বিশেষ রূপ লক্ষ্যনীয়:-
এই মায়ের মূর্তি হয় দ্বিভূজা রূপে ।।দেবীর একহাতে(ডান ) থাকে ব্রহ্ম মানব,অর্থাৎ ব্রহ্ম কে ধারণ করেন, তাই তিনি ব্রহ্মময়ী ।। অপর হাতে থাকে কাল রুধির পাত্র ,কালের কলন গ্রাস করেন ,তাই তিনি কালিকা ।।কোনো খড়গ থাকে না।।মায়ের মাথার ওপর থাকে কুণ্ডলিনী স্বরূপ সর্প যা মায়ের কেশ ধারণ করে রয়েছে ।।এবং তাহার পিছনে থাকে অসীম ফনা বিশিষ্ট বাসুকি নাগ যা ধরিত্রীকে ধারণ করে রেখেছে ।।দেবীর শরীরে থাকে সর্প রুপি পৈতা ,দেবী জগদ্ধাত্রীর মতো ।।এবং মুন্ডমালা ।।এই দেবীকে নীলাম্বরী কাপড় পরানো হয়।।আভরণ থাকে স্বর্ণালংকারে।।
মায়ের দুই পাশে ডাকিনী ও যোগিনী বর্তমান।। এবং পেছনে দুটি কঙ্কাল নারী ও পুরুষ বর্তমান থাকে।। মায়ের ডান পাশে থাকেন চতুর্মুখী ব্রহ্মা ও দেবরাজ ইন্দ্র ।।উভয়েই আদি শক্তিকে প্রণাম নিবেদন করছেন ।।বামে থাকেন ভগবান বিষ্ণু ও দেবাদিদেব মহাদেব ।।ভগবান বিষ্ণুও প্রণাম নিবেদন করেছেন ।।আর মহাদেব মহাকালেশ্বর একহাতে ত্রিশুল ও অপর হাতে ডমরু নিয়ে দণ্ডায়মান।।আর একটি ,যিনি থাকেন দেবীর পদতলে ।।
এছাড়াও দুটি মাটির ব্রাহ্মণ ও তান্ত্রিক থাকে।।বলা হয়, দেবীর পূজা সাধারন কেও করতে পারে না ,তাই এই মহা শক্তির পূজক হিসাবে দুই মূর্তিকে কল্পনা করা হয়।।এছাড়া একটি শেয়াল ও কাক,মৃতদেহ খাদ্যরত মূর্তি থাকে ।।
এক বৎসর ধরে এই মূর্তি পূজিত হয় মূল মন্দিরে।।তারপর মায়ের বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয়।।পূজিত হয় মায়ের কাঠামো ।।এবং ভক্তগণ প্রতীক্ষায় থাকেন আবার মায়ের মূর্তিকে দর্শন করার জন্য ।।
দেবীর মাটি তোলা উৎসব :--
দেবীর মাটি তোলা উৎসব এই পূজার আঙ্গিকে এক বড় উৎসব ।। মায়ের মন্দির থেকে কিছু কিমি দূরে “ রানীর দীঘি” নামক এক পুষ্করীনির পাড়ে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান ।।একটি ঝুড়ি ও কোদাল নিয়ে হস্তী ,বাদ্য শোভাযাত্রা সহকারে যাওয়া হয় ওই স্থানে।।কথিত আছে পূর্বে নাকি দেবী শঙ্খচিল রূপে ওই শোভাযাত্রার সাথে যেতেন ।।এবং ওই চিলের ছায়া মাটিতে পড়লেই সেই ছায়া অংশ টুকুর মাটি সংগ্রহ করে আনা হবে মূল মন্দিরে ।।ওই পবিত্র মাটিতে নির্মিত হবে মায়ের মূর্তি ।।এবং অন্যান্য দেবতাদের মূর্তি ।।বর্তমানে ও ওই ঘটনার ওপরই এই অনুষ্ঠান ।।এই বৎসর ২৭ শে চৈত্র ,11 ই এপ্রিল ।।
এই সকল মূর্তি সহ দেবীর দর্শন পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে দুর্লভ ।।এইখানে আদ্যাশক্তির আরাধনা,মহাশক্তির পূজা হয় ভক্তি ,নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে।।দেবীর কৃপা লাভের আশায় সমাগম ঘটে অগণিত ভক্তবৃন্দের ।।মুখর হয়ে ওঠে রামজীবনপুর শহর ।।
২০১৮ র মাতৃ বন্দনায় সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রণ ।।আসুন আমরা সকলে মনের কালিমা দেবীর চরণে নিবেদন করে বলি –
“ ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ,ভদ্রকালী কপালিনী ,দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমৌস্তুতে”।।